শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর উপজেলার কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে নৌবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ দল।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে একাধিক সন্ত্রাসীর আস্তানা ও একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে; উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
অভিযানে নৌবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের প্রায় আড়াইশ সদস্য অংশ নেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন কোহেলিয়া সেতুর কাছে টহল পুলিশের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন, যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীদের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সিইও) কামরুল হাসান অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া, আঁধারঘোনা, গোদারপাড়া ও ফকিরজোম পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করা হয়।
অভিযানে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী আস্তানায় হানা দেওয়া হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।”
র্যাব জানায়, অভিযানে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে পাহাড়ি টিলা ও ঝিরিতে তল্লাশি চালানো হয়।
কামরুল হাসান বলেন, “পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাব সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। সন্ত্রাসীদের আর কোনো আস্তানা থাকতে দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের কারণে সন্ত্রাসীদের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। যৌথবাহিনীর অভিযানে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
র্যাব জানায়, মহেশখালী দ্বীপ উপজেলার উপকূলে চিংড়ি ও লবণ মাঠের জমি দখল বেদখল নিয়ে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে আস্তানা করে, সেখান থেকে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালায়।
ভয়েস/জেইউ।